শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৩

মায়ের দিক হতে

আগেই আমি আমার পিতৃকুলের পরিচয় দিয়েছি।এইবার আমার মাতৃকুলের পরিচয় পর্বে আসি।

আমার নানাবাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ১৫ নং বড়কুল(প)ইউনিয়নের অন্তর্গত জাখনি গ্রামের খান বাড়ি।

আমার নানা মাওলানা সোলায়মান খান স্থানীয় ভাবে সবার নিকট আদর্শ শিক্ষক ও হুজুর হিসেবে পরিচিত।আশেপাশের ১০ গ্রামের মানুষ তাঁকে বিখ্যাত ওয়াজিন হিসেবে সম্মান করে।অনেক অসুস্থতার সাথে এখনো আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে আছেন।

আমার নানু গৃহ আবাদ করেই আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছেন।

মামারা ৫ ভাই ও ৫ বোন।আমার মা বোনদের মাঝে ৩য়।আমার অন্যান্য খালারা বেশ সুখের সাথেই ঘর-সংসার করছেন।

বড় মামা রফিক আহমেদ খান বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কর্মরত আছেন।

মেঝ মামা শরিফ আহমেদ খান ও সেঝ মামা মোহাম্মদ আজম খান উভয়েই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাক্রমে সায়েন্স ও আর্টসের শিক্ষক।

আমার চতুর্থ মামা ফয়েজ আহমেদ খান আমাদের বংশে একমাত্র প্রবাসী হিসেবে সৌদি আরবে কর্মরত আছেন।

আর ছোট মামা ফরিদ আহমেদ খান বেসরকারি ওষুধ কম্পানিতে চাকুরিরত।

পিতৃকুলে কেমন আমি?

আমি কে?কোথা হতে এসেছি?কি আমার পরিচয়?মানুষ কথায় বলে ব্যবহারে বংশের পরিচয়।আমি সরাসরিই দিলাম।প্রথমেই পিতৃকুল হতে শুরু করি।

আমার দাদার বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ১৪ নং আস্রাফপুর ইউনিয়নের পূর্বদিকের সীমানা নিকটবর্তী এলাকা চাঙ্গিনি গ্রামে নয়া বাড়ি।বর্তমানে এটা চাঁদপুর-১ আসনের অন্তর্গত।
আমার দাদা মৃত মৌলভি আব্দুল লতিফ।তিনি স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত ছিলেন।পাশাপাশি ইসলামের খেদ্মত ও ইসলাম সঠিক ভাবে প্রচার করার কারনে লোকজন তাঁকে দরবেশ বলে জানতেন এবং ডাকতেন।

দাদী আল্লাহর রহমতে এখনো বেঁচে আছেন।যদিও মাঝে মাঝে তার অসুস্থতা তাঁকে কাবু করে দেয়।শতবর্ষী হতে আর বেশি দিন বাকি নেই।

আমার বাবা-চাচা সব মিলিয়ে ৫ জন এবং ফুফু ৩ জন।সিরিয়াল অনুযায়ী তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিচ্ছি।
বাবার বড় যিনি আমরা তাঁকে জ্যাঠা বলে ডাকি।তিনি বর্তমানে উপজেলা খাদ্য অফিসে সিনিয়র ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত।


আমার বাবার পড়ে যিনি তার নাম প্রফেসর ড.আবদুল মালেক।তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়,কুষ্টিয়ার আরবি ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক।

তারপর যিনি তার নাম প্রফেসর এ.কে.এম.আবদুল খালেক।তিনি বিক্রমপুর আদর্শ ডিগ্রি কলেজে কর্মরত।

আমার ছোট কাকার নাম এডভোকেট মোহাম্মদ আবদুস সাত্তার।সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হিসেবে আইন ব্যবসা করছেন।তিনি রাজউকের আইন পরামর্শকও।

এদের সবাই আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।


আর ফুফুরা সবাই তাদের পরিবারের সাথে সুখেই আছেন।

আমার বাবা আমার গুরু

আমার বাবা আলহাজ মুফতি মাওলানা আবদুল কাদের।১৯৬২ সালে কচুয়ার এক সম্ভ্রান্ত ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।তার প্রাথমিক শিক্ষা হতে শুরু করে শিক্ষা জীবনের শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হন।দাখিল,আলিম,ফাজিল পরিক্ষায় সর্বোচ্চ মেধার স্বাক্ষর রাখার পাশাপাশি তৎকালীন সময়ের শ্রেষ্ঠ মাদরাসা সৈয়দপুর আলিয়া মাদরাসা ও ঢাকা আলিয়া মাদরাসা হতে যথাক্রমে কামিল(হাদিস) ও কামিল(ফিকহ) ডিগ্রি লাভ করেন।


১৯৮১ সালে মুরাদনগর ডি.আর.সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।বর্তমানে সিনিয়র সহকারি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।তার পাশাপাশি ১৯৮৩ সাল হতে মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ মসজিদে খতিব ও প্রধান ইমাম হিসেবে সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।এছাড়াও তিনি কুমিল্লা উত্তর এলাকায় স্বনামধন্য ইসলামী বিশ্লেষক ও বক্তা হিসেবে সুপরিচিত

আমার আমি

আমি মুনতাসির মাহমুদ।
১৯৯০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার জন্মগ্রহন করি।আমার আগে আমার এক বোন জন্ম হয়েই মারা যায় এবং একজন জীবিত আছেন।যার কারনে পরিবারের প্রথম ছেলে হওয়াতে সবার আদর ভালোবাসাটা একটু বেশিই পেয়েছি। ধারাবাহিকতার সাথে আমি আমার শিক্ষাগত জীবন অন্যান্য অর্জন ও সাংগঠনিক ধারনা তুলে ধরবো।
১৯৯৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের জন্য মুরাদনগর আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছোট ওয়ানে ভর্তি হই।আমরা তখন প্রাক-প্রাথমিককে ছোট ওয়ান বলতাম।তাই এখনো এই নামটাই বললাম।
২০০০ সালে প্রাথমিকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়ে উপজেলায় ২য় স্থান অধিকার করি।আমাদের সময়েই সর্বপ্রথম সমাপনী পরিক্ষা চালু হয়।
২০০১ সালে ধামঘর এস কে সিনিয়র মাদরাসায় আবার ৫ম শ্রেণীতে ভর্তি হই।এখানেও প্রাথমিক বৃত্তি অর্জন করি।
পরবর্তীতে ২০০৪ সালে মাদরাসা বোর্ড হতে ৮ম শ্রেণীতে সাধারণ বিভাগে বৃত্তি লাভ করি।
২০০৫ সালে দেশ সেরা তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় ভর্তি হলেও অসুস্থতাজনিত কারনে আবার আগের মাদরাসায় ফিরে এসে ২০০৭ সালে দাখিল পরিক্ষায় এ+ পাই।
২০০৭ সালে আবার দেশ সেরা তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় ভর্তি হই এবং ২০০৯ সালে আলিম পরীক্ষায় এ+ পেয়ে সারা দেশে ২য় স্থান অধিকার করি।
২০০৯ সালে প্রাচ্চ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ২০১৪ সালে মাস্টার্স পরীক্ষা দেই।
বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ অদ্ধয়ন করছি।
২০০৪ হতে ২০০৭ পর্যন্ত ছাত্র রাজনীতির সাথে সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে রাজনীতি হতে সতর্কতা পরিমাণ দূরে অবস্থান করছি।

এছাড়া ২০০১ সাল হতে বিভিন্ন সাংগঠনিক ও সামাজিক কাজের সাথে জড়িত আছি।