সামাজিক/সাংগঠনিক

শুরু হয় ২০০০ সালে।হঠাৎ করে ডাক পাই জাতীয় কাব ক্যাম্পুরিতে।মানুষের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করা,সহমর্মিতা ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া,অন্যায়-অসঙ্গতি দেখলে তার যথাযথ সমাধানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করার মন-মানসিকতা তৈরি করার হাতে-খড়ি সেখান হতেই।পঞ্চম শ্রেণীতে থাকতেই সাংগঠনিক হওয়ার পথে একধাপ এগিয়ে যাই।

২০০৪ সালের বন্যায় সারা দেশে যখন আর্ত-মানবতার হাহকার আর চিৎকার তখন বিএনসিসির সদস্য হিসেবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে দিন-রাত কাজ আর সেবার হাত বাড়িয়ে দিতে হয়েছিলো।সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বন্যাকবলিত এলাকায় পীড়িত মানুষের দরবারে পৌঁছিয়ে দেয়াটাই তৎকালীন নেশা হয়ে গিয়েছিলো।স্থানীয় সংসদ সদস্যের সাহায্যে আমাদের কাজের তৎপরতা ছিল দেখার মত।এই প্রথম প্রকাশ্যে কোন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিকের কাছে আসা।

২০০৭ সালে সিডরে লণ্ডভণ্ড দক্ষিণাঞ্চল।চারদিক হতে ত্রাণের ব্যবস্থা আসতে থাকলেও পর্যাপ্ততা ছিল না।আমরা কয়েক বন্ধু মিলে সাহায্য সংস্থা মানুষগঠন করে ছুটে যাই বাগেরহাট ও শরণখোলায়।৩১ দিন কাজ করে সেখান হতে চলে আসি।সেখানে পরিচিত হই জাতিসংঘের বিদেশি সেচ্ছাসেবী দল ওয়াক এর সাথে।

২০০৮- এর শেষের দিকে ২০০৯'র শুরুর দিকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্র পিস অ্যান্ড কনফ্লিকট ইসলামিক  ল এর উপর ডিপ্লোমা কোর্স করি। দেশেই বিভিন্ন ভাবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে নিয়মিত কাজ করে গেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে DUTS এর সাথে সর্বপ্রথম যোগ দেই।তারপর আর পিছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ ছিল না।একেক করে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হয়েছে। Bangladesh Youth Leadership এর প্রোগ্রাম এর আওতায় সাংগঠনিক কার্যক্রমের উপর ট্রেনিং নিয়ে জাতিসংঘেরvolunteer এর জন্য আবেদন করি।২০১০ সালে জাতিসঙ্ঘ তাঁদের primary volunteer হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিনিধি করে শিক্ষা,সংস্কৃতি,বিনোদনমূলক সংস্থা তৈরি করার জন্য নির্বাচিত করে।

এই পর্যন্ত যেসব সংগঠনের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে সেগুলো হলো-


কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মানুষের নিকট হইতে পেয়েছি অফুরন্ত ভালবাসা,সম্মান আর শ্রদ্ধা।বুঝতে পেরেছি মানুষ কি এবং কেন?জীবনের মানে কি?এত কিছুর ভিতরেও কিছু প্রাতিষ্ঠানিক এ্যাওয়ার্ড ও মিলেছে।ব্যক্তিগত প্রশান্তি ও মানসিক শান্তির যে অপার মিলন তা লক্ষ্য করেছি হাড়ে হাড়ে।


সর্বশেষে ২০১৩ সালে জাতিসংঘ হতে BEST RISING ORGANIZER AWARD লাভ করি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন