ছবিটা প্রতীকী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা মানুষের মনে নানা কথা জন্ম
নেয়।আনন্দ-উৎসব,দুঃখ-কষ্ট,বিপদ-আপদ সহ নানা সংকটে পুরো দেশবাসীই তাকিয়ে থাকে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।
ঢাকা ভার্সিটির গেইট নাই কেন? সীমানা প্রাচীরই বা কোথায়?এমন
প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক স্যার বলেছিলেন-
“সাগরে অনেক নদীই এসে মিশে।সাগরের না কোন গেট
আছে না সীমানা আছে।জ্ঞান সাগরতো এমনই হওয়া উচিত”।
সারা বিশ্বের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগন যেখানে রাষ্ট্রের মূল
উপাদান হিসেবে জনগন,নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড,সরকার ও সার্বভৌমত্ব কে নির্ধারণ করেছে
সেখানে উপমহাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগন বাংলাদেশের মূল উপাদান হিসেবে এই চারটির সাথে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও যোগ করেন।
যেখানে একটা দেশ কোন ভার্সিটি তৈরি করে সেখানে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামে একটা দেশের জন্ম দিয়েছে।
এমন হাজারো কথা আর শ্রুতিমালা দেয়া যাবে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে।
কিন্তু এটাই সত্য কথা যে,চাইলেও আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
কোন ক্লাসরুমে বসে প্রিয় শিক্ষকদের কথা শুনতে পারব না।
চাইলেও কলাভবনের গোলক ধাঁধা পার হয়ে ৫ তলার এক্সাম হলে বসে
পরীক্ষা দিতে পারব না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!!! তুমি স্বমহিমায় তোমার জায়গায় দাড়িয়েই
থাকবে।আর প্রতিনিয়ত বিদায় দেবে আমার মত কাউকে না কাউকে।
আমি আবেগে ভারাক্রান্ত নয়।আলহামদুলিল্লাহ্,সময়ের অনেক আগেই
মাস্টার্স শেষ করে ফেললাম।এইবার শেষ ভালটা দেখার সময়।
