মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫

এক্সাম মেকানিজম

    এসএসসি ' র আগের সিলেবাসে এক্সাম ফিটনেস নামে একটা লেসন ছিল।কিভাবে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হয় বা পরীক্ষায় ভালো করার উপায় কি সেই সম্পর্কেই এটা ছিল।যুগের চাহিদা অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এক্সাম মেকানিজম নামেও একটা লেসন/ ইউনিট রাখার জোর দাবী জানাচ্ছি।এখানে কিভাবে পরীক্ষার ফলাফল হাইব্রিড বানানো যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত থাকবে বলে আশা করছি।
    বেশ অনেকদিন আগের কথা।এইচ এস সি পরীক্ষার রেজাল্টে আশেপাশের চোর- বাটপারদের যেইরকম নাচ দেখেছিলাম তাতে নিজেকে আটকাতে না পেরে লিখেছিলাম - এইসব পরীক্ষার্থীরা না হয় ছোট,তাই বলে তাদের অভিভাবকদের কি একটুও লজ্জা লাগে না ???
    ইতোমধ্যে ২ টি বিষয়ের এইচএসসি পরীক্ষা শেষ।কানে যেই পরিমান কথা এসেছে তাতে বুঝতে কষ্ট হয় না যে আরেকটা "হাইব্রিড ড্যান্স" এর অপেক্ষা করতে হবে।লোকে বলে শোনা কোথায় কান দিতে নেই।কিন্তু যারা এই " সহযোগিতা" পাচ্ছে তারাই যদি শিকার করে তাহলে কি আর বিশ্বাস না করার উপায় আছে?
    এই কিছুদিন আগেও আমার খুব কাছের একজন আমাকে কথায় কথায় বলত-আপনি আমাদের প্রতিষ্ঠানের এমনতর বিরুদ্ধবাদী কেন?মনে হয় উচিত জবাবের সময় চলে যাচ্ছে।
    এটা কোন ভাবেই শিক্ষার্থীদের দোষ নয়।তারা এইরকম শিক্ষা আর ফলাফল চায় না।অন্তত যাদের সাথে আমার পরিচয় আছে তাদের অধিকাংশই এই অবস্থাটা চাচ্ছেনা।এইটা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও সেই ফেইলুয়ার শিক্ষকদের অতি উৎসাহ যারা মনে করে পরীক্ষা হলে "লিফলেট" না দিলে আমার প্রতিষ্ঠান ভালো রেজাল্ট করবে না।এই সব অপকর্ম ভয় থেকে করে,তাদের সততা নেই বলে তারা অসৎ কাজে সাহস পায়।
    অবাক লাগে গার্ডিয়ানদের দেখে।
    তারা নিজেদের সন্তান এর প্রাইভেট টিউটর নিয়োগের জন্য কতো ধরনের শর্ত দেন।অমুক ভার্সিটির অমুক ডিপার্টমেন্টের হতে হবে,দিনে এত ঘণ্টা সপ্তাহে এত দিন মাসে এই টাকায় পড়াতে হবে।অথচ যখন তারা তাদের এই সন্তানদের জন্যই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা করেন তখন হট লিস্টে রাখেন এই সব চোর বাটপার প্রতিষ্ঠানের।সিরিয়াল ধরে ফরম টানেন।ভর্তি পরিক্ষায় না টিকলে আবার ডোনেশনের ব্যবস্থা করেন।আবার এরাই নিজেদের সন্তানের চুরির ফলাফলে মিষ্টি বিলান আর ড্যান্স পার্টি করেন।
    সময় আমাদের ও আসবে।একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন সত্যিকারের মেধাবিরা আজীবন দেখে তাদের স্বপ্ন বৃথা যাবেনা। হয়তো কোন সন্ধ্যায়ই উড়ো বাতাস পাবো পরিবর্তনের ডাকের।মিছিলের নেত্রিত্তে নয় এইবার মিছিলে শামিল থাকতে পারলেই টগবগিয়ে ফুটে উঠবো। মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশে ছুড়ে বলবো - আমিই মানুষ।

বৃহস্পতিবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমি


ছবিটা প্রতীকী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নানা মানুষের মনে নানা কথা জন্ম নেয়।আনন্দ-উৎসব,দুঃখ-কষ্ট,বিপদ-আপদ সহ নানা সংকটে পুরো দেশবাসীই তাকিয়ে থাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে।

ঢাকা ভার্সিটির গেইট নাই কেন? সীমানা প্রাচীরই বা কোথায়?এমন প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক স্যার বলেছিলেন-

সাগরে অনেক নদীই এসে মিশে।সাগরের না কোন গেট আছে না সীমানা আছে।জ্ঞান সাগরতো এমনই হওয়া উচিত

সারা বিশ্বের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগন যেখানে রাষ্ট্রের মূল উপাদান হিসেবে জনগন,নির্দিষ্ট ভূ-খণ্ড,সরকার ও সার্বভৌমত্ব কে নির্ধারণ করেছে সেখানে উপমহাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানীগন বাংলাদেশের মূল উপাদান হিসেবে এই চারটির সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও যোগ করেন।

যেখানে একটা দেশ কোন ভার্সিটি তৈরি করে সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ নামে একটা দেশের জন্ম দিয়েছে।

এমন হাজারো কথা আর শ্রুতিমালা দেয়া যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে।

কিন্তু এটাই সত্য কথা যে,চাইলেও আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ক্লাসরুমে বসে প্রিয় শিক্ষকদের কথা শুনতে পারব না।

চাইলেও কলাভবনের গোলক ধাঁধা পার হয়ে ৫ তলার এক্সাম হলে বসে পরীক্ষা দিতে পারব না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়!!! তুমি স্বমহিমায় তোমার জায়গায় দাড়িয়েই থাকবে।আর প্রতিনিয়ত বিদায় দেবে আমার মত কাউকে না কাউকে।

আমি আবেগে ভারাক্রান্ত নয়।আলহামদুলিল্লাহ্‌,সময়ের অনেক আগেই মাস্টার্স শেষ করে ফেললাম।এইবার শেষ ভালটা দেখার সময়।